২০০৬ সালে হঠাৎ করেই বলিউডে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন গায়ক ও সংগীত পরিচালক হিমেশ রেশমিয়া।
জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে রুপালী পর্দারও নায়কও হয়ে ওঠেন। যদিও তার অভিনীত ছবিটি ফ্লপ হয়েছিল।
এমন জনপ্রিয়তার মধ্যেও নিজের নাকি কণ্ঠের জন্য তুমুল বিদ্রুপের শিকার হয়েছিলেন এই কম্পোজার।
একের পর এক হিট গান দিলেও তার গান গাওয়ার ধরন নিয়ে অস্বস্তি প্রকাশ করতেন শ্রোতাদের একাংশ।
তার ‘ও হুজুর’,‘ঝালাক দিখলা যা’ গানগুলো নিয়ে নানা ধরনের ব্যাঙ্গাত্মক ক্লিপ তৈরি হয়।
ওই সময় হিমেশ রেশমিয়ার ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে তাকে ‘চড়’মারার কথা বলেছিলেন বলিউডের কিংবদন্তি সংগীত শিল্পী আশা ভোঁসলে। যদিও হিমেশের নাম সরাসরি মুখে নেননি তিনি।
হিমেশের ওপর আশা ভোঁসলের এতো রেগে যাওয়ার কারণ জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা।
গণমাধ্যমটি জানায়, নিজের নাকি কণ্ঠস্বর নিয়ে সমালোচনা ও ব্যাঙ্গাত্মক সব বক্তব্যের বিষয়ে ওই সময় নিজের সঙ্গে কিংবদন্তি সংগীত পরিচালক আর ডি বর্মণের তুলনা করেছিলেন হিমেশ।
তিনি দাবি করেছিলেন, আর ডি বর্মণও তার মতোই কিছুটা নাকি সুরে গান করতেন। কিন্তু সেই কারণে পঞ্চম দাকে ( আর ডি বর্মণ) কখনও কোনো কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়নি। অথচ তাকে নিয়ে সমালোচনা চলছে।
হিমেশের এই মন্তব্য মেনে নিতে পারেননি ভারতের কিংবদন্তি গায়িকা আশা ভোঁসলে। প্রচণ্ড অসন্তুষ্ট হলেও পরোক্ষভাবে হিমেশকে ‘চড়’ মারার কথা বলেন।
এক সংবাদমাধ্যমকে আশা বলেছিলেন, ‘কেউ যদি বলেন বর্মণ সাহেব নাক দিয়ে গাইতেন, তাকে চড় মারা উচিত।’
আশার এই মন্তব্যের পাল্টা বক্তব্যও দিয়েছিলেন হিমেশ। তার সেই তুলনায় আর ডি বমর্ণকে ছোট করা হয়নি বলে দাবি করেন হিমেশ।
বলেছিলেন, ‘আমি পঞ্চমদাকে কখনই অপমান করতে চাইনি। আমি লক্ষ্মীকান্ত-প্যারেলাল এবং পঞ্চমদার থেকেই গান তৈরি করতে শিখেছি। আমি কীভাবে ওকে অপমান করতে পারি?’
এরপর অবশ্য আশা ভোঁসলের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন হিমেশ। বলেছিলেন, ‘আর ডি বর্মণকে নিয়ে কোনো অপমানজনক কথা বলেননি তিনি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বর্ষীয়ান গায়িকার ভাবাবেগে আঘাত করতে চাননি তিনি।’
প্রসঙ্গত, সঙ্গীত পরিচলাক আর ডি বর্মনের স্ত্রী আশা ভোঁসলে। প্রথম থেকেই ছিলেন আশা ভোঁসলের ফ্যান ছিলেন আর ডি। দুজনের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। রীতা প্যটেলের সঙ্গে আর ডির বিচ্ছেদ ঘটলে আশার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। আশাকে প্রেমের প্রস্তাবও দেন আর ডি। প্রথমে সাড়া না দিলেও পরে আর ডি বর্মণকেই বিয়ে করেন আশা।