টেস্টের অভিজাত ফরম্যাট থেকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অবসরে যাওয়ার গুঞ্জন রটেছে।
জিম্বাবুয়ে সফরে একমাত্র টেস্টে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ১৩২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যাওয়া বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ৪৬৮ রান করে।
সপ্তম উইকেটে লিটন দাসের সঙ্গে রিয়াদ গড়েন ১৩৮ রানের জুটি। এরপর তাসকিন আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ১৯১ রানের জুটি।
এই দুই জুটির কল্যাণে ব্যাটিং বিপর্যয় এড়িয়ে ৪৬৮ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
দলের হয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সর্বোচ্চ ১৫০ রান করেন। এটা তার টেস্ট ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ রান। এছাড়া ৯৫ রান করেন লিটন। ৭৫ রান করে তাসকিন আহমেদ।
জিম্বাবুয়ের সফরে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের এমন নান্দনিক পারফরম্যান্সে মুগ্ধ দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। অথচ সেঞ্চুরির একদিন পরই দেশের ক্রীড়াঙ্গনে গুঞ্জন, রিয়াদ টেস্ট থেকে অবসর নিচ্ছেন।
হয়তো রাগ এবং হাতাশা থেকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন রিয়াদ। জাতীয় দলের সাবেক প্রধান কোচ চান্দ্রিকা হাথুরুসিংহে রিয়াদকে সীমিত ওভারের প্লেয়ারের ‘টেগ’ লাগিয়ে দেন। হাথুরু কোচ থাকাকালীন তেমন টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি রিয়াদ।
হাথুরু বাংলাদেশের কোচিং ছেড়ে চলে গেলেও টেস্ট দলে নিয়মিত হতে পারেননি রিয়াদ। ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতে নিয়মিত খেলে যাওয়া এ তারকা অলরাউন্ডারকে টেস্টের জন্য বিবেচনা করেননি জাতীয় দলের নির্বাচকরাও। কোচ এবং নির্বাচকদের অবহেলায় তার সম্ভাবনাময় টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ হওয়ার উপক্রম হয়। ২০০৯ সাল থেকে ১২ বছরে মাত্র ৫০টি টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ পান রিয়াদ।
হয়তো এই অবহেলার কারণেই জিম্বাবুয়ে সফরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে প্রশংসায় থেকেই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিতে চান ৩৫ বছর বয়সী এ তারকা ক্রিকেটার।