ভারতের কেরালা রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে দেখা দিয়েছে বন্যা ও ভূমিধস। রাজ্যটির ইদুক্কি ও কোত্তায়াম জেলায় কমপক্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে উদ্ধারকাজ চলছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, আজ রোববার সকালে এসে কেরালার বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাত কমেছে। তবে গতকাল সারা রাত ঝরেছে বৃষ্টি। বৃষ্টিপাতের কারণে কোত্তায়াম জেলার বাঁধগুলোতে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। পানির চাপে খুলে দেওয়া হয়েছে জেলাটির মানিইয়ার বাঁধের গেটগুলো। সেখানে এখনো ১২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। খারাপ আবহাওয়ার কারণে কোত্তায়ামে উদ্ধারকাজে বিলম্ব হচ্ছে।
দুর্যোগ মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের অনুরোধে ভারতের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা কেরালার বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা করছেন। দেশটির ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স কবলিত অঞ্চলগুলোতে ১১টি দল মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাড়তি সতর্কতার অংশ হিসেবে আজ ও আগামীকাল সোমবার সাবারিমালা মন্দিরে ভক্তদের না যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে উদ্ধারকাজ জোরদার করতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ান। বন্যাকবলিত এলাকা থেকে লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সবকিছুর মধ্যে বন্যার্তদের জন্য গড়ে তোলা আশ্রয় ক্যাম্পগুলোতে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ক্যাম্পগুলোতে করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ান। পাশাপাশি শারীরিক জটিলতা থাকা এবং টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের জন্য বাড়তি সতর্কতা নিতে বলা হয়েছে।
বন্যাদুর্গতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা ওয়াইয়ানাদের সাংসদ রাহুল গান্ধী। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘আমি কেরালার মানুষের সঙ্গে রয়েছি। দয়া করে নিরাপদে থাকুন এবং নিরাপত্তা সতর্কতাগুলো মেনে চলুন।’