১৪ বছর পর এবার বড় কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে আবারও মুখোমুখি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা।
ইতিহাস বলছে, বড় আসরে ব্রাজিলের কাছে পাত্তা পায় না আর্জেন্টিনা। এর আগে ২০০৭ কোপা ফাইনালে ৩-০ গোলে জয় পেয়েছিল ব্রাজিল। ২০১৯ কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনাকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল ব্রাজিল।
এবারও কি সেই ফলাফলের পুনরাবৃত্তি হবে?
পরিসংখ্যান টেনে এনে ফাইনালে কোন দল জিতবে তা নিয়ে বিশ্লেষণ চলছেই। আর সব বিশ্লেষণের শেষ কথা জানা যাবে রোববার সকাল ৮টার কিছু আগে।
এদিন ব্রাজিলের এতিহ্যবাহী স্টেডিয়াম মারাকানায় কোপা আমেরিকার ফাইনালের দ্বৈরথে মুখোমুখি হবে ফুটবলের দুই পরাশক্তি।
আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল সমর্থকদের রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষা করতে হবে সেই সময়ের জন্য। অবশ্য ২৪ ঘণ্টাও নেই আর।
এমন এক মহারণকে সামনে রেখে বাংলাদেশের সাবেক কোচ এডসন সিলভা ডিডোকে জিজ্ঞেস করা হয়েছে- কোন দল জিতবে? ফাইনালে কার পক্ষে অবস্থান তার?
অবশ্য এ ব্রাজিলিয়ান নিজের দেশকেই টানবেন, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অস্বাভাবিক জবাব দিলেন তিনি। তার জবাবে বিস্মিত হবে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা দুই দলের সমর্থকরাই।
কারণ ডিডোর চোখে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার বর্তমান দুটি দলই খারাপ।
তিনি বলেন, ‘ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা দুই দলই খুব খারাপ। তাই যে কোনো দলই জিততে পারে ফাইনালে। ম্যাচে যাই হোক, যাই ঘটুক, তাতে ভালো কিছু বলা যাবে না। খারাপ খারাপই- যতক্ষণ পর্যন্ত না সেটা আমূল পরিবর্তন করা যায়।’
এমন জবাবের পেছনে যুক্তিতো দেখাতেই হবে ডিডোকে। ডিডো হতাশ করলেন না। তার মতে দু একজন তারকা ছাড়া দল দুটোতে বাকি সব গড়পরতা খেলেন।
আর্জেন্টিনার বিষয়ে বলেন, ‘এটা তো স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে। আর্জেন্টিনায় মেসি, ডি মারিয়া ও অ্যাগুয়েরোর মতে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা বেশি বয়সের। এর মধ্যে কেবল মেসি এখনো প্রতিপক্ষের জন্য বিপদের কারণ হতে পারেন। বাকিরা সব গড়পরতা। নিজ নিজ ক্লাবেই তারা প্রধান খেলোয়াড় নন। আর গত ২৯ বছরে আর্জেন্টিনা একটা ট্রফিও জিততে পারেনি।’
নিজ দেশ ব্রাজিলের দল নিয়ে ডিডো বলেন, ‘বর্তমান দলটি যে ফুটবল খেলছে তা দিয়ে ব্রাজিলের প্রকৃত ফুটবলের ছাপ ফুটে উঠে না। নেইমার দলকে যতটা না দিতে পারে তার চেয়ে বেশি উপস্থাপন করা হয় তাকে। তবে এটা বলব নেইমার এখনো মেসির মতো বিপজ্জনক ফুটবলার।’