চলাচল ও কার্যক্রমে কঠোর বিধিনিষেধের শেষ দিন ছিল আজ বৃহস্পতিবার। তবে সরকার এর মধ্যেই বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও পাঁচ দিন বাড়িয়েছে। চলমান বিধিনিষেধের মধ্যেই আজ রাজধানীর বিভিন্ন মূল সড়কে যানবাহন ও মানুষের যাতায়াত বেশি দেখা গেছে।
মূল সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল, রিকশা চলাচল করেছে। পাড়া-মহল্লার অলিগলিতেও মানুষের আনাগোনা দেখা গেছে। বিধিনিষেধ না মেনে কিছু দোকানপাট খুলছেন ব্যবসায়ীরা। বাস-সিএনজিসহ গণপরিবহন চলাচল বন্ধ আছে, বন্ধ আছে শপিং মলও।
রাজধানীর মালিবাগ রেলগেট ও খিলগাঁও এলাকায় সকালে দেখা যায়, সিমেন্ট, রড, চশমা, অটোমোবাইলের দোকান খোলা আছে। কেউ কেউ শাটার অর্ধেক নামিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছেন। চায়ের দোকানে মানুষেরা আড্ডা দিচ্ছেন। অনেকের মুখে মাস্ক আছে, কারও আবার নেই। অথচ বিধিনিষেধ অনুযায়ী এসব দোকান বন্ধ থাকার কথা।
খিলগাঁও চৌরাস্তা এলাকার সিমেন্টের দোকানের মালিক মো. আজিম উদ্দিন বলেন, গত দেড় বছরে দোকান বন্ধ রেখে ব্যবসায় অনেক ক্ষতি হয়েছে। সংসার ও দোকান চালানো যাচ্ছে না। এ কারণে দোকান খুলতে বাধ্য হয়েছি।
যাতায়াত ও কার্যক্রমে যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারায় গতকাল পথচারীদের অর্থদণ্ডসহ বিভিন্ন জরিমানা গুনতে হয়। নানা অজুহাতে বের হওয়ায় গতকাল ৪২৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ১৭৯ জনকে ৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি সড়ক পরিবহনবিধি লঙ্ঘন করাসহ বিভিন্ন অপরাধে ৪০৭টি গাড়িকে ৯ লাখ ৭১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রাজধানীর বিশ্বরোড, মগবাজার, ফার্মগেট, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, আসাদ গেট, কলেজ গেট, শ্যামলী—এসব এলাকাগুলোতে ব্যক্তিগত গাড়ি, মাইক্রোবাস, পিকআপ ও রিকশার চাপ গত ১৩ দিনের তুলনায় অনেক বেশি ছিল। এসব যানবাহনগুলোকে সিগনালে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান বিধিনিষেধ ১০ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত বাড়িয়ে আজ আদেশ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তবে এই সময়ে সব শিল্প কলকারখানা খোলা রাখা যাবে। এর আগে ১ আগস্ট থেকে কেবল রপ্তানিমুখী শিল্প কলকারখানা খোলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচল করবে। গণপরিবহন, অফিস বন্ধ রাখাসহ বাকি বিধিনিষেধগুলো আগের মতোই চলবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এ বছরের ৫ এপ্রিল থেকে ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ চলছে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, আজ ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছিল কঠোর বিধিনিষেধ। এখন তা বাড়ানো হলো।