1. [email protected] : Renex Lab : Renex Lab
  2. [email protected] : Shuvo Khan : Shuvo Khan
মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৫৫ অপরাহ্ন

চীনা টিকা দেশে এলেই দেওয়া হবে পুরো টাকা

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • মঙ্গলবার, ১৮ মে, ২০২১

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে ভ্যাকসিন কেনার পুরো অর্থ একসঙ্গে চীনের কম্পানিকে না দিতে পরামর্শ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। অর্ধেক টাকা শিপমেন্টের আগে এবং বাকি টাকা ভ্যাকসিন দেশে আসার পর দেওয়ার কথা বলেছে মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি বেসরকারি খাত নয়, সরকারকেই ভ্যাকসিন ক্রেতা হওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভ্যাকসিন কেনা এবং চুক্তি নিয়ে রবিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এসব পরামর্শ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়টির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ভ্যাকসিন কেনা একটি স্পর্শকাতর বিষয়। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের সময় যে ভুলগুলো আমরা করেছি তা যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে। তাই নানা পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এসব পরামর্শ কতটুকু গ্রহণ করবে তা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার।
চীনা কম্পানির কাছ থেকে ভ্যাকসিন কেনার বিষয়টি যাতে ঝামেলাহীনভাবে হয় সে জন্য বিশেষজ্ঞরা সব পক্ষকে এক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল হামিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের ভ্যাকসিন দরকার। সরকার প্রথম দফায় ব্যর্থ হওয়ায় তাদের অবস্থান খর্ব হয়েছে। তাই চীনের ভ্যাকসিন আনতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় যেসব যুক্তি, পরামর্শ দিয়েছে, তা খুবই যৌক্তিক। আবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েরও ভ্যাকসিন আনার দায় রয়েছে। পুরো বিষয়টি সহজ করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে একসঙ্গে বসা উচিত। তাহলেই সব কিছুর সহজ সমাধান হবে।’

এ ব্যাপারে গত সপ্তাহে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে মতামত চেয়ে চিঠি দেয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠির জবাবে অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, ভ্যাকসিন কেনার সব টাকা একসঙ্গে পরিশোধ করা যাবে না। ভ্যাকসিন আনতে হবে অপ্রত্যাহারযোগ্য এলসির মাধ্যমে। বিমানে চালান ওঠার পাঁচ দিন আগে মোট মূল্যের অর্ধেক পরিশোধ করা হবে। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে ভ্যাকসিন পৌঁছানোর পাঁচ দিনের মধ্যে বাকি অর্ধেক টাকা পরিশোধ করা হবে।
একসঙ্গে খুব বেশি ভ্যাকসিন কেনার পক্ষেও নয় অর্থ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় রবিবার পাঠানো চিঠিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে বলেছে, শিডিউল অনুযায়ী আপাতত ১০ মিলিয়ন ভ্যাকসিন কেনা যেতে পারে। তিন কিস্তিতে আনা যেতে পারে এই ভ্যাকসিন। পরে আলোচনার মাধ্যমে সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চাইছে বি-টু-বি পদ্ধতিতে চীনের সঙ্গে ভ্যাকসিন কেনা নিয়ে চুক্তি করতে। বি-টু-বি হলো বিজনেস টু বিজনেস। অর্থাৎ বিক্রেতা এবং ক্রেতা উভয়ই বেসরকারি খাতের হবে। যেমনটি হয়েছে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে। সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে বেক্সিমকো চুক্তি করেছে। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এ প্রস্তাবে রাজি নয় অর্থ মন্ত্রণালয়। অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, বি-টু-বি নয়, চুক্তি হবে বি-টু-জি পদ্ধতিতে। অর্থাৎ এতে ক্রেতা হবে বাংলাদেশ সরকার, আর বিক্রেতা চীনের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। ভ্যাকসিনের মূল্য নির্ধারণে স্বাস্থ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি আন্ত মন্ত্রণালয় কমিটি গঠন চায় অর্থ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় বলেছে, এ কমিটিই নির্ধারণ করবে চীনের ভ্যাকসিনের মূল্যসহ খুঁটিনাটি বিষয়।

আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৩ প্রিয়দেশ
Theme Customized BY LatestNews