1. [email protected] : Renex Lab : Renex Lab
  2. [email protected] : Shuvo Khan : Shuvo Khan
মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৫:১৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবর
কক্সবাজারে শুভ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে গোল্ডস্যান্ডস্ গ্রপের আন্তর্জাতিক মানের চার তাঁরকা হোটেল বে হিলস্ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ভারতকে নীল সাগরে ডুবিয়ে হেক্সা শিরোপা জিতলো অস্ট্রেলিয়া অসম্ভব কে সম্ভব করে দেখালেন ইনজুরি থেকে ফেরা ম্যাক্সওয়েল নেতাকর্মী নিয়ে সুধী সমাবেশে করলেন জাহাঙ্গীর আলম প্রাক্তন প্রেমিকদের নিয়ে মুখ খুললেন ঋতাভরী ঢাকাই চলচ্চিত্রে আরও এক নতুন নায়িকার আবির্ভাব পরনের তোয়ালে খুলে যাচ্ছে ক্যাটরিনার! জননিরাপত্তা সচেতনতামূলক কর্মশালা করলো ট্রাফিক রমনা বিভাগ তাপসের ছবির নতুন লুকে বুবলী

‘আমি নিজেকে ও আমার পরিবারকে হত্যা করেছি’

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল, ২০২১

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অ্যালেন শহরের একটি বাড়ি থেকে একই পরিবারের ছয় বাংলাদেশির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুই ভাই পরিবারের চার সদস্যকে হত্যা করার পর তারা নিজেরাও আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা পুলিশের।

অ্যালেন পুলিশ জানিয়েছে, বড় ভাই তানভীর তৌহিদ (২১) ছোট দুই ভাই ফারহান তৌহিদ মানসিক বিষণ্নতায় ভুগছিল। তা থেকে মুক্তি পেতে তারা এই কাজ করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে মন করা হচ্ছে।

হত্যাকাণ্ডের আগে ফারহান তৌহিদ ইনস্টাগ্রামে একটি দীর্ঘ ‘সুইসাইড নোট’ পোস্ট করেছেন। এতে তিনি লিখেছেন, ‘আমি নিজেকে ও আমার পরিবারকে হত্যা করেছি।’

নবম শ্রেণি থেকে মানসিক হতাশার বিরুদ্ধে কীভাবে লড়াই করেছেন ফারহান সে কথাও লিখেছেন। তার বড় ভাইও হতাশার সঙ্গে লড়াই করেছেন বলে জানিয়েছেন।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ফারহান লেখেন, তার ভাই বলেছেন, ‘আমরা যদি এক বছরে সবকিছু ঠিক করতে না পারি, তবে আমরা নিজেদের ও পরিবারকে হত্যা করব।’

নিজেরা আত্মহত্যা করলে পরিবার লজ্জায় পড়বে। তাই লজ্জা ও কষ্ট থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য অন্যদের হত্যা করে নিজেদের আত্মহত্যার কথা সুইসাইড নোটে উল্লেখ রয়েছে বলে পুলিশের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে।

সুইসাইড নোটে হত্যার পরিকল্পনার কথাও লেখা আছে।

পুলিশ জানিয়েছে, দুই ভাই ‘সুইসাইড নোট’ রেখে গেছেন। এই নোট থেকে মনে করা হচ্ছে, তারা হতাশায় ভুগছিলেন। পরিবারকে লজ্জা ও কষ্ট থকে মুক্তি দেওয়ার জন্য দুই ভাই সবাইকে হত্যা করে নিজেরা আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলে সুইসাইড নোটে উল্লেখ রয়েছে।

ওই পরিবারের এক বন্ধুর কাছ থেকে ফোন পেয়ে ডালাস শহরতলির অ্যালেনের পাইন ব্লাফ ড্রাইভ এলাকার ওই বাড়িতে পুলিশ রাত ১টার দিকে তল্লাশির জন্য যায়। সেখানে গিয়ে একটি বাড়ির এক কক্ষে একইসঙ্গে বাবা-মা ও তিন সন্তানের লাশ পড়ে থাকতে দেখে। একটু দূরেই পড়েছিল তাদের দাদির লাশ।

নিহতরা হলেন- ১৯ বছর বয়সী যমজ ভাই-বোন ফারহান তৌহিদ ও ফারবিন তৌহিদ, বড় ভাই তানভীর তৌহিদ (২১), মা আইরিন ইসলাম (৫৬), বাবা তৌহিদুল ইসলাম (৫৪), তানভীর তৌহিদের নানি আলতাফুন্নেসা (৭৭)।

ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা স্থানীয় পুলিশের সার্জেন্ট জন ফেল্টি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ডালাস মর্নিং নিউজকে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, সাপ্তাহিক ছুটির দিন রোববার দুই ভাই পরিবারের অন্য সদস্যদের হত্যার পর নিজেরা আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৩ প্রিয়দেশ
Theme Customized BY LatestNews