1. [email protected] : Renex Lab : Renex Lab
  2. [email protected] : Shuvo Khan : Shuvo Khan
শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:০৯ পূর্বাহ্ন

আক্রান্তদের দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে না তাই ফিরে আসছে করোনা : সমীক্ষা

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • সোমবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২১

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরও অনেকের দেহে গড়ে ওঠেনি স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা। ভারতে সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের অন্যতম কারণ হলো কভিড-১৯ প্রতিরোধী অ্যান্টিবডির অনুপস্থিতি।

‘কাউন্সিল ফর সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ’ (সিএসআইআর) মার্চ মাসে ওই সমীক্ষাটি পরিচালনা করে। সমীক্ষাটি থেকে জানা গেছে, মোট ১০,৪২৭ জনের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে মাত্র ১০.১৪ শতাংশের দেহে। দেশটির ১৭টি রাজ্য এবং ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সিএসআইআর-এর কর্মীদের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

সমীক্ষার এই ফল উদ্বিগ্ন করেছে চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের একাংশকে। কারণ তাঁদের মতে ভাইরাসের বিরুদ্ধে স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে না উঠলে শুধু টিকা আর ওষুধের সাহায্যে কভিড দমন খুবই কঠিন।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধী অ্যান্টিবডির ‘সক্রিয়তার মেয়াদ’ নিয়েও দুশ্চিন্তার কারণ রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, তৈরি হওয়ার পাঁচ-ছয় মাসের মধ্যেই অ্যান্টিবডিগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে এবং কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে। ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ফের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

সিএসআইআর-এর গবেষক শান্তনু সিংহ জানান, গত সেপ্টেম্বরে ভারতজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শীর্ষে উঠেছিল। অক্টোবর থেকে কমতে শুরু করে। কিন্তু ‘কার্যকরী অ্যান্টিবডির অভাবে’ ফের মার্চ মাস থেকে সংক্রমণের গতি বাড়তে শুরু করে। তিনি বলেন, ‘আমাদের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিউক্লিওক্যাপসিড প্রোটিনবিরোধী অ্যান্টিবডি সংক্রমণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু অ্যান্টিবডি তৈরির পরেও প্রায় ২০ শতাংশ ব্যক্তির দেহে পাঁচ-ছয় মাস পর তার কার্যকারিতা কমে যায়। ফলে দ্বিতীয়ৱবার সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।’

সূত্র : আনন্দবাজার।

আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৩ প্রিয়দেশ
Theme Customized BY LatestNews